ব্যবহারবিধি:
- ২০০ মিলি দুধে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তালবীনা মিশিয়ে ভালো করে মেশান।
- প্রয়োজন অনুযায়ী ৫-১০ মিনিট কম আঁচে গরম করুন।
- প্রয়োজনীয় স্বাদ অনুযায়ী মধু বা চিনি যোগ করুন। (যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে)
উপাদান: বার্লি (যব).শুকনো খেজুর (খুশক খেজুর).বাদাম (বাদাম).কাজু (কাজু).পিস্তা (পিস্তা).এলাচি .প্রাকৃতিক স্বাদ.সঙ্গে শুকনো ফল
সুপারফুড তালবিনা কি কি উপাদানে তৈরী: যব বা বার্লি, দুধ, মধু ইত্যাদির সহযোগে তৈরিকৃত এক প্রকার তরল খাবার হচ্ছে তালবিনা। ‘তালবিনা’ আরবি ‘লাবান’ (টকদই) শব্দ থেকে এসেছে কারণ রান্নার পরে এটি -দইয়ের মতো ঘনত্বের হয়, নরম ও দেখতে দইয়ের মতো সাদা। সেজন্য সাদৃশ্য বোঝাতে এর নাম ‘তালবিনা’।
এটি এমনই এক সুপার ফুড যা আমাদের রাসূল(সা:) ও সাহাবাদের (রাঃ) সময়ে শোক-দুঃখসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হতো। এটি আমাদের একটি ভুলে যাওয়া সুন্নাহ তাই অনেকে নাও জেনে থাকতে পারি।
আয়িশা (রা:) থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পরিবারের লোকদের জ্বর হলে তিনি দুধ ও ময়দা সহযোগে তরল পথ্য (তালবিনা) বানানোর নির্দেশ দিতেন। তিনি বলতেন, “ তালবিনা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে শক্তি যোগায় এবং রোগীর মনের ক্লেশ ও দুঃখ দূর করে। যেমন তোমাদের কোন মহিলা পানি দ্বারা তার মুখমন্ডলের ময়লা পরিষ্কার করে থাকে।” অর্থাৎ, ডিপ্রেশন দূর করে। (হাদিস নং ৩৪৪৫;
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “অপ্রিয় কিন্তু উপকারী বস্তুটি তোমরা অবশ্যই গ্রহণ করবে। তা হলো তালবিনা অর্থাৎ হাসা (দুধ ও ময়দা সহযোগে প্রস্তুত তরল পথ্য)।” রাসূলুল্লাহ (সা:) এর পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসা এর পাতিল চুলার উপর থাকতো, যতক্ষণ না রোগী সুস্থ হতো অথবা মারা যেতো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৪৬)
পাকস্থলী এবং অন্ত্রতে আলসারের রুগীদেরকে সকালের নাস্তায় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সময়ে উন্নত মানের ব্যবস্থাপত্র স্বরূপ তালবিনা প্রদান করা হতো। এতে আলসারের প্রতিটি রুগী ২/৩ মাসের মধ্যে আরোগ্য লাভ করতো।